কঙ্কালের গায়ে লেগে থাকা জামা দেখে স্ত্রী সনাক্ত করেন স্বামীর লাশ। ঘটনা রাজধানীর পল্লবীর বেড়িবাঁধ এলাকায় ঘটেছে গত শনিবার ২০ (ফেব্রুয়ারি)।পুলিশ বেড়িবাঁধের পাশে পড়ে থাকা একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে সন্দেহবশত স্ত্রী রহিমা বেগমকে খবর দেয়। রহিমা বেগম গায়ের শার্ট দেখে নিশ্চিত করেন যে এটা তার স্বামীরই মরদেহ।
এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। পুলিশ জানায় গত বছরের ১লা নভেম্বর থেকে নুরুল ইসলাম গাজী নিখোঁজ ছিলেন। এব্যাপারে তার স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেও রেখেছিলেন। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে নুরুল ইসলাম অপহরণের শিকার হয়েছেন।
এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অপহরণকারী সন্দেহে পুলিশ রয়েল, কালু, শাকিলসহ চারজনকে শনাক্ত করে। তাদের মধ্যে রয়েল, কালু ও আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেনি। পরে ডিজিতে অপহরণ মামলায় রূপান্তর করে থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে কঙ্কালটি উদ্ধারের পর স্ত্রী রহিমা গিয়ে তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন
এডিসি আরিফ আরও বলেন, নুরুল ইসলাম গাজী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডিএনএ প্রতিবেদনের মাধ্যমে কঙ্কালটি নুরুল গাজীর কি না, সেটা নিশ্চিত হতে হবে। তা ছাড়া তার মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত হতে হবে। উদ্ধার কঙ্কালটি নুরুল ইসলাম গাজীর হয়ে থাকলে এবং তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে।
রূপনগর থানা পুলিশ জানিয়েছে, নুরুল ইসলাম গাজী ও অপহরণ মামলার সন্দেহভাজন চার আসামি স্থানীয় মাদক কারবারি ছিলেন। মাদকের কারবার ছেড়ে দিয়ে তিনি মুদিদোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এতে তার পুরনো সহযোগী মাদক কারবারির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে নুরুল ইসলাম গাজীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের
পুলিশ সব আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুজেঁ বের কারার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।